ইনকিলাব
প্রকাশ:২ জুন, ২০২৫
ফাইল ছবি | ইনকিলাব
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, এবং অভ্যন্তরীণ সংস্কার—সবকিছুর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই ফলাফলের উপর। তাই এই নির্বাচন শুধু এক ব্যক্তির জয় নয়, বরং পোল্যান্ডের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনার মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত।
রোববার (১ জুন) এই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কারণ প্রথম রাউন্ডে (১৮ মে) কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হন। প্রথম রাউন্ডে উদারপন্থী প্রার্থী রাফাল ত্রাশকোভস্কি পেয়েছিলেন ৩১.৩৬ শতাংশ আর নাভরোকি পেয়েছিলেন ২৯.৫৪ শতাংশ। তাই এই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন ছিল অনিবার্য। এই ভোটাভুটির তাৎপর্য গভীর, কারণ নাভরোকির অবস্থান ইউরোপবিরোধী, আর ত্রাশকোভস্কি ইউরোপীয় সংহতির পক্ষে। যারাই জয়ী হন, তারাই নির্ধারণ করবেন পোল্যান্ড ইউরোপীয় মূলধারার অংশ হবে, না কি আরও আত্মনির্ভর ও সার্বভৌম ভাবমূর্তির দিকে যাবে।
ইপসোস পরিচালিত সর্বশেষ এগজিট পোল অনুযায়ী, নাভরোকি পেয়েছেন ৫০.৭ শতাংশ ভোট, আর ত্রাশকোভস্কি পেয়েছেন ৪৯.৩ শতাংশ। ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭১.৭ শতাংশ, যা দেশটির ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (PKW) প্রধান সিলভেস্টার মার্সিনিয়াক জানিয়েছেন, এই ব্যবধান হতে পারে মাত্র ১২০,০০০ ভোট বা ০.৬৫ শতাংশ, অর্থাৎ ফলাফল যেকোনো সময় পাল্টে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, চূড়ান্ত ফল ঘোষণায় ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। প্রথম রাউন্ডের মতো এবারও দুই প্রার্থীর মধ্যকার ব্যবধান খুবই ক্ষীণ, যা এই নির্বাচনকে আরও নাটকীয় করে তুলেছে।
নাভরোকির রাজনৈতিক অবস্থান রক্ষণশীল, ইউরোপীয় বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে এবং ঐতিহ্যবাহী পোলিশ মূল্যবোধের পক্ষে। তিনি ল’ অ্যান্ড জাস্টিস (PiS) পার্টির ঘনিষ্ঠ এবং মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, ত্রজাসকভস্কি হলেন সিভিক কোয়ালিশন (KO)-এর সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক-এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি গর্ভপাত আইন সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে কথা বলেন। এই দুই বিপরীত মেরুর প্রার্থী পোল্যান্ডের জন্য দুই ভিন্ন ভবিষ্যৎ নির্দেশ করে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি