প্রকাশিত:
৮ অক্টোবর, ২০২৫
গোলচত্বরে মানববন্ধনের পর শিক্ষার্থীরা সেখানে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এতে বহিষ্কৃতদের সমর্থনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন, এমনকি অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের কেউ কেউও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর ইসলাম বলেন, বহিষ্কার আদেশটি অবৈধ ও প্রহসনমূলক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কারো জবানবন্দি নেওয়া হয়নি, এমনকি বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়নি। এটি একটি মীমাংসিত বিষয় ছিল, যা বিভাগীয় প্রধানদের মাধ্যমে প্রক্টর অফিসে পাঠানো হয়েছিল। অথচ এক বছর পর হঠাৎ করে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী রিফা সানজিদা বলেন, সেদিন শহীদ মিনারে আমিও উপস্থিত ছিলাম। আমরা নিজেরাই সিনিয়র আপুদের সাথে পরিচিত হতে সময় চেয়েছিলাম। কোনো র্যাগিং হয়নি, বরং আপুরা খোঁজ নিয়েছিলেন আমরা কোনো সমস্যায় আছি কি না।
বহিষ্কারাদেশপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী কাজী তাসমিয়া হক আরিশা বলেন, প্রশাসন কোনো নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে, কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা অনতিবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গেল ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় র্যাগিংয়ের অভিযোগে ২৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের দাবি, বহিষ্কৃতরা অন্যায়ভাবে শাস্তির শিকার হয়েছেন এবং বিষয়টি পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে।