প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর, ২০২৫
বৃহস্পতিবার ৯ অক্টোবর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইয়ুন জিয়ং নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইয়ুন জিয়ং বলেন, বাংলাদেশ যখন তার অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে ও রূপান্তর ঘটাতে সচেষ্ট, তখন সিএমএসএমই-গুলির উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং দারিদ্র্য, আয় বৈষম্য ও আঞ্চলিক বৈষম্য কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি। গ্রামীণ এলাকার সিএমএসএমই, বিশেষ করে নারী-পরিচালিত উদ্যোগগুলোকে উন্নত দীর্ঘমেয়াদী মূলধন সরবরাহের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ‘সেকেন্ড স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম-সাইজড এন্টারপ্রাইজেস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ফেজ ২)’ নামে পরিচিত এই উদ্যোগটির লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
এডিবি জানায়, গ্রামীণ এলাকার সিএমএসএমইগুলি মহানগর এলাকার তুলনায় ব্যাংক ও তাদের শাখা থেকে ঋণ পেতে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলে সিএমএসএমই-গুলির বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাসকে উৎসাহিত করা হবে। এটি বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক সিএমএসএমই-গুলির সংখ্যা ও আকার বৃদ্ধি করতে এবং এই খাতে কর্মসংস্থান বাড়াতেও সহায়তা করবে। তাছাড়া, এই প্রকল্পটি সিএমএসএমই-গুলিকে উদ্ভাবনে সহায়তা করবে। যাতে তারা তাদের ব্যবসায় জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত করতে পারে এবং পরিবেশবান্ধব (গ্রিন) পণ্যে প্রসারিত হতে পারে। এর ফলে তারা নতুন বাজার ধরতে সক্ষম হবে।
কারিগরি সহায়তার বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, ঋণ প্যাকেজের পাশাপাশি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলারের কারিগরি সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই সহায়তা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অংশগ্রহণকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার করবে। এটি বিশেষ করে নারী পরিচালিত সিএমএসএমই-সহ লক্ষ্যযুক্ত উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা সহায়তা দেবে, যাতে তারা সহজে ব্যাংক ঋণ এবং আর্থিক পরিষেবা পেতে পারে।
এছাড়াও, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি, সিএমএসএমই-এর উপর কর্মশালা পরিচালনা, গ্রিন ফাইন্যান্স এবং ভ্যালু চেইন-ভিত্তিক অর্থায়ন-এর উপর কর্মপরিকল্পনা তৈরি, প্রযুক্তিগত মান নির্ধারণ এবং পাইলট প্রকল্পগুলোতে সহায়তা করা হবে।