প্রকাশিত:
২ ডিসেম্বর, ২০২৫

পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, দেশে গ্যাস মজুত নিয়ে সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানো হয় ২০১০ সালে, যেখানে উত্তোলনযোগ্য মজুত ধরা হয়েছিল ২৮.৭৯ টিসিএফ। ২০২২–২৩ অর্থবছর পর্যন্ত উত্তোলিত হয় ২০.৩৩ টিসিএফ, ফলে মজুত থাকে প্রায় সাড়ে ৮ টিসিএফ।
২০২৩ সালে পেট্রোবাংলা নতুন করে সব গ্যাসক্ষেত্রের মজুত মূল্যায়ন করে। তাতে দেখা যায়, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে মোট মজুত বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩০ টিসিএফ। সে পর্যন্ত উত্তোলিত হয় প্রায় ২২ টিসিএফ, ফলে অবশিষ্ট থাকে প্রায় ৮ টিসিএফ গ্যাস। বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ০.৭৫ টিসিএফ। এই হারে উৎপাদন চললে মজুত গ্যাস দিয়ে আর ১১ বছর উৎপাদন সম্ভব।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খনির শেষ পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য থাকে না, যদিও তা মজুত হিসেবে ধরা হয়। এই বিবেচনায় প্রকৃত উত্তোলনযোগ্য গ্যাস আরও কম, যা বর্তমান হারে সর্বোচ্চ আট বছর চলতে পারে বলে তাদের ধারণা।
পেট্রোবাংলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে, এর মধ্যে ২০টি উৎপাদনে। চারটি নতুন গ্যাসক্ষেত্র—ভোলার ইলিশা, ভোলা নর্থ, সিলেটের জকিগঞ্জ ও কুতুবদিয়া—এখনও উৎপাদনে আসেনি, কারণ প্রয়োজনীয় পাইপলাইন ও অবকাঠামো তৈরি হয়নি। এছাড়া পাঁচটি পুরোনো গ্যাসক্ষেত্রে ৬৬১ বিসিএফ মজুত থাকা অবস্থায় উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে; এগুলো বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য নয়। এসব ক্ষেত্র হলো রূপগঞ্জ, ছাতক, কামতা, ফেনী ও সাংগু।
২০২৪ সালের ১ জুলাইয়ের হিসাব অনুসারে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাসে রয়েছে প্রায় ২ টিসিএফ গ্যাস, হবিগঞ্জের বিবিয়ানায় ১.৬৬ টিসিএফ, মৌলভীবাজারে প্রায় ২০ বিসিএফ, জালালাবাদে ৭০০ বিসিএফের কম। সিলেটের বাখরাবাদ, কৈলাসটিলা, রশিদপুরসহ অন্যক্ষেত্রগুলোতেও উল্লেখযোগ্য মজুত রয়েছে।