প্রকাশিত:
১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফলে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩১.৩৮ শতাংশ, যা একক মাসের হিসেবে খুবই উচ্চ। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং সামষ্টিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা স্থানীয় টাকার মান স্থিতিশীল রাখা, আমদানি ব্যয় মেটানোসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ভালো থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন বা ৩,২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ১,৩০৩ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। নভেম্বরে মাসে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার, কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ২৯ কোটি ৫৯ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৯ লাখ ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মোট ৩,০৩৩ কোটি ডলার, এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২,৩৯১ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। জুলাই-অক্টোবর সময়ে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার করে প্রবাসী আয় এসেছে। নভেম্বরে তা প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। মার্চে রেকর্ড প্রবাসী আয় হয়েছে—৩২৯ কোটি ডলার, যা এখনও একক মাসের সর্বোচ্চ। এরপর এক মাসে প্রবাসী আয় আর ৩০০ কোটি ডলার ছাড়েনি। আয় বৃদ্ধির পেছনে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা কমে আসা এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভালো পরিমাণ প্রবাসী আয় আসায় পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। রমজানের খাদ্যপণ্যের জন্য ব্যাংকগুলো এখন ঋণপত্র খুলছে। সংকট না থাকায় ডলারের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া এখন যে কেউ চাইলে ঋণপত্র খুলতে পারছেন।