প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প জানান, “গোল্ড কার্ড সকল যোগ্য ও যাচাইপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য সরাসরি নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ দেবে। মার্কিন কোম্পানিগুলো অবশেষে তাদের অমূল্য প্রতিভাধারীদের ধরে রাখতে পারবে।”
প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’ এমন একটি ভিসা যা প্রমাণিত হতে হবে যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম। এটি এমন সময়ে আসে যখন ওয়াশিংটন অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ কড়াকড়ি করেছে, যেমন বৈধ ভিসার ফি বৃদ্ধি ও অননুমোদিত অভিবাসীদের প্রত্যর্পণ।
গোল্ড কার্ডের জন্য এক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক। কর্মীদের স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানদের জন্য দুই মিলিয়ন বা বিশ লাখ ডলারের অতিরিক্ত ফি রয়েছে। এছাড়া প্লাটিনাম সংস্করণও রয়েছে, যেখানে বিশেষ কর ছাড়সহ পাঁচ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে। আবেদন প্রক্রিয়ার আগে ১৫ হাজার ডলার প্রক্রিয়াকরণ ফি দিতে হয়, যা ফেরতযোগ্য নয়।
ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ঘোষণার পর স্কিমটি সমালোচনার মুখে পড়ে, বিশেষত ডেমোক্র্যাটরা এটিকে ধনী ব্যক্তিদের জন্য অন্যায্য সুবিধা হিসাবে দেখেছেন। ট্রাম্প এটিকে গ্রিন কার্ডের অনুরূপ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, তবে লক্ষ্য করা হয়েছে উচ্চ মাপের পেশাদারদের জন্য।
এই স্কিমের উদ্ভব হয় তখন, যখন ট্রাম্প প্রশাসন দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বের করার জন্য উল্লেখযোগ্য ব্যয় করেছে এবং ১৯টি দেশের অভিবাসনের আবেদন স্থগিত করেছে। এছাড়া আশ্রয় ও অ্যাসাইলাম মামলাগুলোর প্রক্রিয়াও স্থগিত রয়েছে।
এর আগে H-1B ভিসা প্রোগ্রামে বিদেশী দক্ষ কর্মীদের জন্য এক লাখ ডলারের ফি আদেশ করা হয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করে।
উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী, ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা ধনী ও দক্ষ অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব লাভের সরাসরি পথ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।