প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর, ২০২৫
এএফপির সাথে আলাপে তিনি জানান, মুক্তি পাওয়া বন্দীদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং গত যুদ্ধকালীন সময়ে আটককৃত ১,৭০০ জন ফিলিস্তিনি অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
চুক্তি বাস্তবায়ন শুরুর ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই বিনিময় কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। হামাসের আরেক সূত্র জানায়, এই সময়সীমা ফিলিস্তিনি পক্ষগুলোর সাথেও সম্মত হয়েছে। একটি ফিলিস্তিনি সূত্র সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-শার্ককে নিশ্চিত করেছে যে, "চুক্তি বাস্তবায়নের ৭২ ঘন্টার মধ্যে" জিম্মি ও বন্দী মুক্তি শুরু হবে এবং এটি আগামী সপ্তাহেই ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সৌদি চ্যানেল আল-হাদাতের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনারা গাজা থেকে সম্মত সীমানায় ফিরে আসার পর জিম্মি মুক্তির ৭২ ঘন্টার গণনা শুরু হবে। ইসরায়েল কর্তৃক চুক্তিটি চূড়ান্ত অনুমোদনের পরই এই প্রত্যাহার শুরু হবে।
এদিকে, কাতারভিত্তিক আল জাজিরাকে একটি জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি সূত্র জানায়, মধ্যস্থতাকারীরা ইতিমধ্যে গাজার শহরগুলোর গভীর অংশ থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিস্তারিত দেখানো ফিলিস্তিনি মানচিত্র গ্রহণ করেছেন, যা মুক্তি প্রক্রিয়া শুরুর আগেই জমা দেওয়া হয়েছে।
হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার দাবি, চুক্তিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর "নির্ধারিত প্রত্যাহার" এর বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে এবং এতে "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর গ্যারান্টি" অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আল-শার্কের খবর অনুসারে, চুক্তি অনুযায়ী রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং ও এর আশেপাশের এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনা সরিয়ে নেবে। এছাড়া, ফিলিস্তিনি রোগী ও আহতদের চিকিৎসার জন্য মিশরে স্থানান্তরের ব্যবস্থাও এই চুক্তির অংশ। চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর রাফাহ ক্রসিং উভয় দিকেই খুলে দেওয়া হবে।
হামাসের আরেক সূত্র এএফপিকে জানায়, যুদ্ধবিরতির প্রথম পাঁচ দিন দিনে কমপক্ষে ৪০০ ট্রাক মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করবে, যা পরবর্তীতে আরও বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি, গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত লক্ষাধিক বেসামরিক নাগরিককে অবিলম্বে গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে।