প্রকাশিত:
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

জেলেরা জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার পর ফেরার পথে ঝড়ে দিক হারিয়ে তাঁদের বহনকারী ট্রলার ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করে। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁদের আটক করে।
ফেরত আসা জেলেদের মধ্যে ছিলেন সফিজল ব্যাপারী (মাঝি), শাহে আলম, ছিডু মুন্সি, রাজীব চন্দ্র দাস, আক্তার হোসেন, মিন্টু হাওলাদার, মো. ফরিদ, মো. আলমগীর, মোহাম্মদ ফরিদ, মো. ইউনুছ, মো. বাবুল সরদার, মো. নিরব হোসেন, মো. ইসমাইল, মো. শাহ আলম হাওলাদার, গৌতম চন্দ্র দাস, জাকির হোসেন, সগির সিকদার, মো. টুটুল ও শহীদুল ইসলাম। তারা ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
জেলে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ সেপ্টেম্বর শান্তির হাট ঘাট এলাকা থেকে মাছ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরে যাত্রা করেছিলেন তারা। ফেরার পথে ঝড়ে দিক হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করলে বিএসএফ তাদের আটক করে সুন্দরবনের কোস্টাল থানায় হস্তান্তর করে। পরে আলীপুর সদর ও বারাইপুর জেলে পাঠানো হয়। দুই দেশের সরকারের সমঝোতার অংশ হিসেবে তারা মুক্তি পান। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারিতে হস্তান্তরের পর, বুধবার সন্ধ্যায় মোংলা বন্দরে পৌঁছান এবং রাত দুইটার দিকে নিজ বাড়িতে ফেরেন।
জেলেরা ফিরে এলেও, মাছ ধরার নৌকাটি ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সফিজল মাঝির ছেলে হোসাইন স্বাধীন। তিনি বলেন, ‘৩০ লাখ টাকা মূল্যের ফিশিং বোটটি ফেরত না পেলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব।’