প্রকাশিত:
গতকাল

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতি জোরদার এবং ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডে তথাকথিত “মাদক সন্ত্রাসীদের” বিরুদ্ধে হামলার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির প্রেক্ষাপটেই এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছের ছোট দ্বীপ কুরাকাও থেকে নিউ ইয়র্কের জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করা জেটব্লু এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১১১২-এর সামনে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি জ্বালানি ভরার ট্যাঙ্কার বিমান। উড্ডয়নের প্রায় ২০ মিনিট পর যাত্রীবাহী বিমানটি হঠাৎ উচ্চতা হারিয়ে ফেলে।
জেটব্লুর পাইলটকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, “আমাদের এখানে প্রায় মাঝআকাশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। তারা সরাসরি আমাদের ফ্লাইট পথ ধরে চলে গেছে। তাদের ট্রান্সপন্ডার চালু ছিল না—এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক।”
জেটব্লুর মুখপাত্র ডেরেক ডোমব্রোস্কি রবিবার জানান, ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের ক্রু সদস্যরা বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষিত। তারা দ্রুত বিষয়টি নেতৃত্ব পর্যায়ে জানিয়েছেন—এ জন্য আমরা তাদের প্রশংসা করি।”
এদিকে, মার্কিন দক্ষিণ কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল ম্যানি অর্টিজ বলেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো তারা পর্যালোচনা করছেন। তিনি জানান, নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে কথিত মাদক কার্টেলের নৌকায় হামলায় ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, ভেনেজুয়েলা সরকার এসব নৌকা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করছে।
তবে ভেনেজুয়েলা সরকার মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, এসব হামলা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুটের লক্ষ্যে নেওয়া একটি “ঔপনিবেশিক ষড়যন্ত্রের” অংশ।