প্রকাশিত:
৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ইউরোপীয় ও ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুনর্ব্যক্ত করেছেন—ইউক্রেনের কোনো ভূখণ্ড ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি বলেন, এটি দেশের আইন, সংবিধান, আন্তর্জাতিক নিয়ম কিংবা নৈতিকতার কোথাও অনুমোদিত নয়। সীমান্ত পরিবর্তনের মতো重大 সিদ্ধান্ত নিতে হলে জনগণের গণভোটই একমাত্র পথ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গত সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র–ইউক্রেনের গোপন বৈঠকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিয়েভ তা গ্রহণ না করায় এখন নতুনভাবে সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।
এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেরৎসের সঙ্গে ডাউনিং স্ট্রিটে জরুরি বৈঠকে অংশ নেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনকে সহায়তা জোরদার করা এবং ন্যায়সঙ্গত–স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ওপর নেতারা ঐকমত্য প্রকাশ করেন।
ইউরোপ সফরে থাকা জেলেনস্কি ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েন এবং পরে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এসব আলোচনা—সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে সক্ষম আন্তর্জাতিক জোট গঠনের প্রচেষ্টা।
অন্যদিকে মস্কো বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সাম্প্রতিক আলোচনায় ‘গঠনমূলক’ অগ্রগতি রয়েছে—যদিও ক্রেমলিনের অবস্থানে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়নি।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তির পথে প্রধান বাধা জেলেনস্কিই। তাঁর দাবি, রাশিয়া নাকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ‘সমস্যা নেই’ বলেছে, অথচ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখনও প্রস্তাবটি পড়েও দেখেননি।