প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

দীর্ঘদিন সাক্ষাৎ বন্ধ: মঙ্গলবার (গতকাল) আদিয়ালা কারাগারের সামনে জড়ো হয়ে তাঁর বোন আলিমা খান অভিযোগ করেন, প্রায় আট মাস ধরে তাঁরা প্রতি মঙ্গলবার দেখা করার জন্য এলেও কারা কর্তৃপক্ষ তা করতে দেয়নি।
অবৈধ নিঃসঙ্গ বন্দিত্ব: আলিমা খানের দাবি, ইমরান খানকে ‘অবৈধভাবে নিঃসঙ্গ বন্দি’ রাখা হয়েছে, যা এক প্রকারের নির্যাতন।
আদালতের নির্দেশ অমান্য: পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ—সচিব জেনারেল সালমান আকরাম রাজা এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রধান জুনায়েদ আকবর খান—অভিযোগ করেন, আদালত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সাক্ষাতের অনুমতি দিলেও কারা কর্তৃপক্ষ তা বারবার অমান্য করছে।
মানসিক চাপ: প্রায় এক মাস পর ২ ডিসেম্বর, মাত্র ২০ মিনিটের জন্য ইমরানের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান তাঁর আরেক বোন উজমা খানুম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ইমরান খান শারীরিকভাবে মোটামুটি ভালো থাকলেও, তাঁর ধারণা তাঁকে ‘মানসিক নির্যাতন’ করা হচ্ছে।
পরিবারের এই প্রতিবাদে বেশ কয়েকজন পিটিআই কর্মীও যোগ দেন। তাঁরা ইমরান খানের নিরাপত্তা ও শারীরিক অবস্থার দ্রুত যাচাইয়ের দাবি জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কারাগারের আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
ইমরান খান বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কয়েক মাস ধরে আদিয়ালা কারাগারে আটক আছেন।
পরিবারের গুরুতর অভিযোগের জবাবে সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভিন্ন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে:
সেনাবাহিনীর দাবি: সেনাবাহিনী এসব অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা দাবি করেছে, ইমরান খান নিজেই মানসিকভাবে অস্থির এবং অতিরিক্ত আত্মমগ্ন (নারসিসিস্টিক) আচরণ করছেন।
সাক্ষাতে নতুন নিষেধাজ্ঞা: উজমা খানুমের মন্তব্যের পরই সরকার নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার জানান, সাক্ষাতের সময় রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে—যা কারা বিধির বিরোধী। তাই উজমাসহ পরিবারকে ভবিষ্যতে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
এই ঘটনাপ্রবাহ পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে, এবং তারা অবিলম্বে ইমরান খানের প্রকৃত শারীরিক ও মানসিক অবস্থা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।