প্রকাশিত:
৩ ঘন্টা আগে
সূত্র জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশে এন্ট্রি ও এক্সিট পদ্ধতি ১২ অক্টোবর কার্যকর শুরু হয়েছে। ফলে নন-ইইউ ভ্রমণকারী ও ব্রিটিশ পর্যটকরা যেভাবে ইইউ অঞ্চলে এন্ট্রি ও এক্সিট করতো, তা বদলে যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট, যাদের মধ্যে আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুরাও রয়েছেন, যারা ২৯টি ইউরোপীয় দেশে স্বল্প সময়ের জন্য ভ্রমণ করছেন। ১২ অক্টোবর থেকে প্রবেশ/প্রস্থান ব্যবস্থা ধীরে ধীরে রেকর্ড করবে। এ রেকর্ডে থাকবে ভ্রমণ নথি, ভ্রমণের তারিখ ও বায়োমেট্রিক তথ্য।
এন্ট্রি এবং এক্সিট সিস্টেম (ইইএস) অনুযায়ী, নন-ইইউ ভ্রমণকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন- আঙুলের ছাপ ও মুখের ছবি প্রথমবার ইইউভুক্ত (শেনজেন অঞ্চল) ২৯টি দেশে প্রবেশ করার সময় নিবন্ধন করতে হবে। ওই অঞ্চলে সব ইউরোপীয় দেশ অন্তর্ভুক্ত, শুধু আয়ারল্যান্ড ও সাইপ্রাস বাদ। এছাড়াও আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও লিশটেনস্টাইন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে ২৯টি ইউরোপীয় দেশে এবং শুধু নন-ইইউ ভ্রমণকারীদের জন্য। এ সিস্টেম পুরো ইউরোপে কার্যকর হবে ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে। এ সময়ে কিছু সীমান্ত চৌকিতে নতুন ব্যবস্থা এবং প্রচলিত পাসপোর্ট স্ট্যাম্পিংয়ের যৌথ ব্যবহার হতে পারে।
নতুন এ ইলেকট্রনিক সিস্টেমের মাধ্যমে ইইউ’র সীমান্তে হাতে হাতে পাসপোর্ট স্টাম্প করার প্রয়োজনীয়তা বাতিল হয়ে যাবে। এর পরিবর্তে ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি হবে, যা বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে যাত্রীদের পরিচয় এবং তাদের ট্র্যাভেল ডকুমেন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
ইইউ চায় এর বাহিরের সীমান্তের ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করা, অবৈধ অভিবাসন রোধ করা, পরিচয় জালিয়াতি প্রতিহত করা এবং যারা অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি অবস্থান করছে তাদের শনাক্ত করা।
এক্সিটের সময় যাত্রীর তথ্য ইইএস (ইইএস) ডাটাবেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় তারা নির্ধারিত অবস্থানের সময়সীমা মেনে চলেছে এবং এক্সিট রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী ভ্রমণে শুধুমাত্র মুখের বায়োমেট্রিক যাচাই করলেই হবে।