প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর, ২০২৫
সূত্রগুলো জানায়, রুশ তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত শোধনাগারগুলোর কাছে চীনা মুদ্রায় পেমেন্টের অনুরোধ করায় এই অর্থপ্রদান করা হয়। সাধারণত ভারতীয় ক্রেতারা রাশিয়ার তেলের জন্য মার্কিন ডলার বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিরহামে অর্থপ্রদান করে থাকেন, যা সরবরাহকারীরা পরে রুশ রুবেলে রূপান্তরিত করেন। একজন বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক রয়টার্সকে জানান, ইউয়ানে সরাসরি অর্থপ্রদানের মাধ্যমে এই অতিরিক্ত রূপান্তর খরচ এবং জটিলতা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সাল থেকে ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে এবং একই সাথে ইউরোপে শোধিত জ্বালানির একটি বড় সরবরাহকারীতে পরিণত হয়েছে। ভারতের বেসরকারি কোম্পানিগুলোও বিশেষ ছাড়ের দামে রাশিয়ান তেল কিনছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রুশ তেলের দাম এখনও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে ডলারেই নির্ধারণ করা হচ্ছে, কিন্তু পেমেন্ট গ্রহণ করা হচ্ছে ইউয়ানে। রাশিয়ার উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর থেকে রুশ রুবেলের পাশাপাশি ইউয়ান দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রায় পরিণত হয়েছে।
এই ঘটনাকে ভারত ও চীনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির চিহ্ন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২০ সালে একটি সীমান্ত সংঘর্ষের পর সম্পর্কের তীব্র অবনতি ঘটে। তবে ২০২৪ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর থেকে সম্পর্কের উষ্ণতা ফিরতে শুরু করে। গত সপ্তাহে দুই দেশ চার বছর পর সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় চালুর ঘোষণা দেয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো রাশিয়ার তেলের জন্য ইউয়ানে পেমেন্ট করলেও, সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বেসরকারি পরিশোধক প্রতিষ্ঠানগুলো তখনও ইউয়ানে অর্থপ্রদান চালিয়ে যায়। এখন আইওসি-এর এই সিদ্ধান্ত দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত হওয়ার একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।