প্রকাশিত:
৭ অক্টোবর, ২০২৫
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে উপদেষ্টার সফর সঙ্গী হিসেবে জাতিসংঘের সফর শেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি গেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, যারা সংস্কার বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছেন, অথবা সংস্কার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে, কোনো কারণে যদি নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদেরকে এর দায়িত্ব নিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনো শঙ্কা দেখি না। কিন্তু ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে কতিপয় বিষয়ে আমাদের সমাধান হওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রধান উপদেষ্টাসহ নিউইয়র্ক সফরকালে যেহেতু অনেক উপদেষ্টা ছিলেন, আমরা সেখানে সবাইকে বলেছি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনটা হয়ে যাওয়া দরকার। তবে যেন-তেন নির্বাচন কোনো সমস্যার সমাধান দেবে না।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ২০২৪, ২০১৮, ২০১৪ সালেও তো নির্বাচন হয়েছে নাকি? এসব নির্বাচন কি দেশের সমস্যা বাড়াইছে না কমাইছে? নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হওয়া উচিত- কারণ একটি গণতান্ত্রিক, পিপলস রিপ্রেজেন্টেটিভ গভর্নমেন্ট আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, জনগণের অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনই সমস্যার সমাধান। এই নির্বাচনের জন্য কতিপয় বিষয়ে অত্যন্ত দ্রুত ও দৃঢ়তার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তাহের বলেন, জুলাই সনদসহ আমরা কতিপয় বিষয়ে রিফর্ম বা সংস্কার করেছি। এটা আরও তিন মাস আগে হয়ে যেতে পারত। সব দল নীতিগতভাবে একমত হয়েছে, তারপরও এটা বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে এইভাবে, সেইভাবে।
তিনি বলেন, এ রকম যদি ষড়যন্ত্র চলে আর সংস্কার যদি বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তো সবকিছুই প্রশ্নবোধক হয়ে যাবে। এজন্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে। তার আগে খুবই অল্প সময়ের ব্যবধানে সংস্কারের ব্যাপারে যে ঐকমত্য হয়েছে, তার আইনি ভিত্তি দিয়ে সংস্কারের ভিত্তিতেই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এটা খুবই পরিষ্কার।