প্রকাশিত:
৩ ঘন্টা আগে
রোববার ১২ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ কথা তিনি। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির উদ্যোগে ডেমোক্র্যাটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভা হয়।
তিনি বলেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি নিয়ে কথা বলছে এবং যেটার জন্য তারা আন্দোলন করছে। এর লক্ষ্য একটাই, সেটি হচ্ছে নির্বাচন বিলম্বিত করা, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পিআর পদ্ধতি এই দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তো আমরা স্পষ্ট করে বলেছি। এখন বলছি, জনগণই এই পদ্ধতি গ্রহণ করবে না, চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছু এদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমরা খুব দ্রুত অর্থাৎ যে কমিটমেন্টটা আছে এই সরকারের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই নির্বাচন হবে। আমরা সেটাই দেখতে চাই। জনগণ নির্বাচন দেখতে চায়। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায় এবং গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই জনগণ তাদের আশা আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জানি যে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যেকোন দল জয়ী হতে পারে জনগণের ইচ্ছার ওপর। কিন্তু সেই দলকেই জনগণ বেছে নেবে। যে দল পরীক্ষিত অতীতে যারা পরীক্ষা দিয়েছে অর্থাৎ সরকারে ছিল কাজ করেছে। যেই দল মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে, যেই দল অন্ধকার থেকে আলোতে টেনে নিয়ে এসেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়স এক বছর ৪ মাস হয়েছে। এই ১৪ মাসে রাতারাতি আলাউদ্দিনের চেরাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটা খুব সুন্দর বানিয়ে ফেলবে এই আশা জনগণ করে না এই সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু প্রক্রিয়াটা শুরুটা চায়… চায় যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হোক যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাবো।
তিনি বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন, যে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব তিনি তার একটা ইন্টারভিউ একটা সাক্ষাৎকার বিবিসিতে। সেখানে তিনি এই প্রশ্নগুলো তুলে ধরেছেন এবং কীভাবে তিনি দেশের সমস্যার সমাধান করতে চান সেই সমস্যাগুলো তিনি তুলে ধরেছেন।