প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর, ২০২৫
টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া সিদ্ধান্তটা শুরু থেকেই সুবিধা আনতে পারেনি বাংলাদেশ শিবিরে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই তানজিদ হাসান তামিম ক্যাচ তুলে ফেরেন। কিছুক্ষণ পরই ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত, আর দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাইফ হাসানও ৫৩ রানের মাথায় আউট হলে দল পড়ে যায় বিপাকে, ৩ উইকেট হারিয়ে তখন সংগ্রহ মাত্র ৫৩।
সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে লড়াইয়ের ভিত গড়ে দেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ধীরে ধীরে সেট হয়ে ১৪২ বলে ১০১ রানের দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে তুলেন দুজন। ৩৫.১ ওভারে স্কোর যখন ১৫৪/৩, তখনও দৃশ্যপটে ছিল লড়াকু ইনিংসের সম্ভাবনা।
কিন্তু এরপরই আসে ভাঙনের শুরু। রান আউট হয়ে ফেরেন হৃদয়, ৮৫ বলে ৫৬ রান, যেখানে ছিল একটি চার ও তিনটি ছক্কা। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই রশিদ খানের গুগলিতে কাঁপে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। মিরাজ (৮৭ বলে ৬০), জাকের আলি অনিক (১৬ বলে ১০) ও নুরুল হাসান সোহান (১৪ বলে ৭), একে একে সবাই ফেরেন রশিদের শিকার হয়ে।
মাত্র ৬৭ রানে হারায় শেষ ৭ উইকেট! রশিদ খান ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট, ভেঙে দেন বাংলাদেশের গড়ে ওঠা ইনিংসের মেরুদণ্ড। শেষদিকে কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেননি পেসার হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব কিংবা স্পিনার তানভির ইসলামও।
সবশেষে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস, যা আফগানিস্তানের মতো শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর হয়ে উঠতে পারেনি।
আরও পড়ুন- ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার দায়িত্ব পেলেন আসিফ