প্রকাশিত:
৫ ঘন্টা আগে
শনিবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামিক স্টাডিজ ফোরাম আয়োজিত ‘সংকট আবর্তে ইসলাম শিক্ষা : উত্তরণ কর্মকৌশল’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ড. এ. কে. এম. ওয়ারেসুল করিম বুলবুল, প্রফেসর ড. আবু জাফর খান, প্রফেসর মিয়া মুহাম্মদ নুরুল হক, ড. মো. রইছ উদ্দিন, ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, ড. শাহ মুহাম্মদ আবদুর রাহীম, ড. আবদুল মান্নান, প্রফেসর আতিকুর রহমান ও মারুফুর রহমান শেখ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশ। এই দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকের ধর্ম ইসলাম হলেও অন্যান্য ধর্মের নাগরিকরাও ধর্মপ্রাণ। কিন্তু রাষ্ট্রের নাগরিক ও নতুন প্রজন্মের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতিতে কোনো স্তরেই ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’কে গুরুত্বসহকারে আবশ্যিকভাবে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে অনেকেই নানা উৎস থেকে ধর্মশিক্ষা গ্রহণ করে, যার কারণে ভুল ব্যাখ্যা, কুসংস্কার ও উগ্রতার উন্মেষ ঘটে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ধর্ম ও নৈতিকতা বিষয়ে অজ্ঞ থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে অনৈতিকতা ও অবক্ষয়ের সৃষ্টি করছে। এই নৈতিক অবক্ষয় রোধে এবং ধর্মীয়-নৈতিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা কারিকুলাম ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
বক্তারা আরো বলেন, ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ভর্তি নীতিমালায় ‘ইসলাম শিক্ষা’ বিষয়টি এবারও ঐচ্ছিক (চতুর্থ বিষয়) হিসেবে রাখা হয়েছে। এটি বিগত সেক্যুলার নীতির পুনরাবৃত্তি এবং জুলাই বিপ্লবের শহীদের রক্তের প্রতি বেইমানি। দেশবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দাবি-উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা- সব শাখা ও বিভাগে ‘ইসলাম শিক্ষা’ বিষয়টি আবশ্যিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।