প্রকাশিত:
৪ ঘন্টা আগে
শুক্রবার ১০ অক্টোবর নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে নোবেল কমিটি এই বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মারিয়া করিনা মাচাদোকে নির্বাচিত করেছে।
গেল কয়েক মাস ধরে গণমাধ্যমগুলোতে শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্পের কথা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলেও তার নাম চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পায়নি। তবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মাচাদো।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া করিনা তাকে ফোন করেছেন এবং তার সম্মানেই পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় ট্রাম্প বলেন, নোবেল পুরস্কারজয়ী ব্যক্তি আজ আমাকে ফোন করে বললেন, ‘আমি এই পুরস্কারটি আপনার সম্মানে গ্রহণ করছি, প্রকৃতপক্ষে এটা আপনারই প্রাপ্য’।
ট্রাম্প মজা করে বলেন, তবে আমি বলিনি, পুরস্কারটা আমাকে দিয়ে দিন। আমি বললে হয়তো দিয়ে দেবেন। তিনি হয়তো ভেবেছেন... আমি তাকে অনেকভাবে সহায়তা করেছি। ভেনেজুয়েলায় দুর্যোগের সময় তাদের অনেক সহায়তার প্রয়োজন ছিল। আমি খুশি, কারণ আমি লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছি।
নরওয়ের নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার নিরলস পরিশ্রম করায় মারিয়া কারিনোকে এ বছর শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
তবে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ঘোষণার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চুং বলেন, ‘নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দেয়।’ তিনি দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তিচুক্তি, যুদ্ধবিরতি ও মানবজীবন রক্ষায় যে ভূমিকা রেখেছেন, তা অতুলনীয়।
দ্বিতীয় মেয়াদের নয় মাসে নিজেকে শান্তির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছিলেন ট্রাম্প। ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রবিরতি প্রচেষ্টাকে নিজের কৃতিত্ব হিসেবে প্রচার করে তিনি পুরস্কারের দাবিও তুলেছিলেন। তবে নোবেল কমিটির ভাষ্যে, ট্রাম্পের প্রচারণা নয়, সাহসী মানবাধিকার রক্ষকদের স্বীকৃতি দিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়র্গেন ওয়াতনে ফ্রিডনেস বলেন, যখন স্বৈরাচারীরা ক্ষমতা দখল করে, তখন যারা ভয় না পেয়ে রুখে দাঁড়ান, তারাই প্রকৃত শান্তির দূত। তিনি বলেন, মাচাদোর অবস্থান লাখো মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, যা রাজনৈতিক প্রচারের চেয়ে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।