এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর বসরি ওথমান জানান, জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর পর্যটনকেন্দ্রিক বুকিত বিনতাং এলাকায় মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মোট দুই হাজার ৪৪৫ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়, যার মধ্যে এক হাজার ৬০০ বিদেশি এবং ৮৪৫ জন স্থানীয়। এর মধ্যে ৭৭০ বিদেশিকে আটক করা হয় বিভিন্ন অভিবাসন অপরাধে।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে ৩৭৭ বাংলাদেশি, ২৩৫ মিয়ানমার নাগরিক, ৭২ নেপালি, ৫৮ ভারতীয় এবং ১৭ ইন্দোনেশিয়ান, এছাড়া অন্যান্য জাতীয়তার ৯ জন। ২১ থেকে ৬৫ বছর বয়সি আটককৃতদের স্ক্রিনিংয়ের পর পুত্রজায়াতে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তদন্তের জন্য বুকিত জলিল ও লেংগেং ডিপোতে পাঠানো হয়।
এদিকে পৃথক এক অভিযানে, ইমিগ্রেশন বিভাগ বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিচালিত একটি জাল পাসপোর্ট সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছে। মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান জানান, তিন সপ্তাহের গোয়েন্দা নজরদারির পর রাজধানীর জালান লোকে ইউ এবং জালান রাজাক ম্যানশনে অভিযান চালিয়ে ১৯ থেকে ৪১ বছর বয়সি পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে ১৬টি পাসপোর্ট (৯টি আসল ও সাতটি জাল), ১৩৩টি অসমাপ্ত পাসপোর্ট বুকলেট, জালিয়াতির সরঞ্জাম, ১১টি মোবাইল ফোন, নগদ দুই হাজার ১০০ রিঙ্গিত এবং একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, সিন্ডিকেটটি মূলত বিদেশি শ্রমিকদের জন্য জাল পাসপোর্ট সরবরাহ করত, যাতে তারা বাধ্যতামূলক মেডিকেল পরীক্ষায় ভুয়া পরিচয়ে অংশ নিতে পারে। প্রতি নথির জন্য নেওয়া হতো ১৫০ থেকে ২৫০ রিঙ্গিত। মাত্র দুই দিনের মধ্যে জাল পাসপোর্ট তৈরি করতে সক্ষম ছিল এই দল।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং নথি জালিয়াতি দমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।