প্রকাশিত:
গতকাল

পুলিশ জানায়, হাজার হাজার জুলাইযোদ্ধার নিরাপত্তা আলাদাভাবে নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। তবে হাদির মতো যারা ‘গান পয়েন্টে’ আছেন বা বিশেষভাবে ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শুধু একজন জুলাইযোদ্ধা হাদিই নয়, লক্ষাধিক জুলাইযোদ্ধা আছেন। তাদের সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে হাই থ্রেটের ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।”
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজুদের পাসপোর্ট ব্লক করা হয়েছে এবং ইমিগ্রেশন ডেটাবেইস অনুযায়ী তারা এখনও দেশত্যাগ করেননি। হামলার সঙ্গে সীমান্ত পারাপারের কাজে জড়িত দুজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
তিনি জানান, এই ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। কারণ, পরিবারের সদস্যরা আহত হাদিকে সঙ্গে রাখায় ব্যস্ত। পরিবারের পক্ষ থেকে যদি আজ মামলা দায়ের না করা হয়, তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
এছাড়া হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক। বাকি দু’জন সীমান্ত পারাপারের মাধ্যমে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নতুন কোনো তথ্য পাওয়া গেলে পরবর্তীতে তা প্রকাশ করা হবে।