প্রকাশিত:
গতকাল

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিক্ষোভকারীরা শহরের পাঁচ রাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে সেখান থেকে একটি মিছিল বের করে তারা শহরের প্রাণকেন্দ্র গেটপার এলাকায় পৌঁছান।
গেটপার এলাকায় বিক্ষোভকারীরা সড়ক ও রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এর ফলে সড়কপথে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং ঢাকাগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনের সিগন্যাল পয়েন্টের আগেই থেমে যায়। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এতে ট্রেনটি প্রায় ৫০ মিনিট আটকে ছিল।
বিক্ষোভ চলাকালে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন এবং ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের জামালপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরনবী ইসলাম নূর বলেন, ‘ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, অথচ এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা জানতে পেরেছি, মূল হত্যাকারী ভারতে পালিয়ে গেছে। এই ব্যর্থতার প্রতিবাদেই জামালপুরের ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তার পদত্যাগ করা উচিত।’
এ বিষয়ে জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আখতারুজ্জামান জানান, আন্দোলনের কারণে ঢাকাগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার আগেই সিগন্যাল পয়েন্টের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। ট্রেনটির বিকেল ৪টায় স্টেশনে পৌঁছানোর কথা থাকলেও প্রায় ৫০ মিনিটের মতো আটকে ছিল।