প্রকাশিত:
গতকাল

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ট আরএনডি মিডিয়া নেটওয়ার্ককে বলেন, বার্লিন চায় ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই যতটা সম্ভব’ এসব মামলার প্রক্রিয়া শেষ করতে, যাতে সংশ্লিষ্ট আফগান নাগরিকরা জার্মানিতে প্রবেশ করতে পারেন। তিনি জানান, তারা আগের জার্মান সরকারের একটি শরণার্থী কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত ছিলেন।
তবে চলতি বছরের মে মাসে রক্ষণশীল চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস ক্ষমতা নেওয়ার পর ওই কর্মসূচি স্থগিত হলে এসব আফগান নাগরিক পাকিস্তানে আটকে পড়েন। কর্মসূচির অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে কেউ কেউ অতীতে তালেবানের বিরুদ্ধে অভিযানে জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছিলেন। আবার অনেকে ২০২১ সালে তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছেন।
পাকিস্তান সরকার এসব মামলার নিষ্পত্তির জন্য বছরের শেষ পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাধান না হলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। ডোব্রিন্ট জানান, এ বিষয়ে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং কিছু মামলা নতুন বছরে গিয়ে নিষ্পত্তি হতে পারে।
এর আগে গত সপ্তাহে জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কর্মসূচির আওতাধীন ৬৫০ জনকে জানানো হয়েছে যে তারা আর জার্মানিতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন না। নতুন সরকারের মতে, কর্মসূচিটি আর জার্মানির স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। পাকিস্তানে অবস্থানরত এসব ব্যক্তিকে জার্মানিতে বসবাসের দাবি প্রত্যাহারের বিনিময়ে অর্থ দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে সরকার।
তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত মাত্র ৬২ জন সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। চলতি মাসের শুরুতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সেভ দ্য চিলড্রেন ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ ২৫০টির বেশি সংগঠন জানিয়েছে, কর্মসূচির আওতায় থাকা প্রায় এক হাজার ৮০০ আফগান নাগরিক এখনো পাকিস্তানে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন এবং তাদের দ্রুত জার্মানিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।