প্রকাশিত:
গতকাল

সংস্থাটির ভাষ্য অনুযায়ী, গত দুই দিন ধরে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং তাদের মিত্র সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ দক্ষিণ করদোফানের ডিলিং শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ চালিয়েছে।
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানায়, পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এতে নারী, শিশু ও প্রবীণসহ আরও বহু মানুষ নিহত হয়েছেন।
ডিলিং শহরের ওপর এই গোলাবর্ষণ করদোফানজুড়ে চলমান সহিংসতার ধারাবাহিকতার অংশ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ডিসেম্বরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে সংঘটিত হামলায় ১০০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে সুদানের যুদ্ধ পশ্চিম দারফুর অঞ্চল থেকে কৌশলগতভাবে দেশের কেন্দ্রীয় এলাকায় সরে এসেছে, যা সংঘাতের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা উভয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে বেসামরিক এলাকায় হামলা বন্ধ করায় এবং সংঘাতে আটকে পড়া মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেয়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরের শেষ দিকে আরএসএফ একটি গুরুত্বপূর্ণ সেনাঘাঁটি দখল করে নিয়ে এ অঞ্চলে সামরিক অভিযান জোরদার করে। এর ফলে করদোফানের তিনটি রাজ্যজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্তত ৫০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। এই সময়ের মধ্যে শুধু ডিলিং শহর থেকেই প্রায় ৭১০ জন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এর আগে, ১৩ ডিসেম্বর করদোফানের রাজধানী কাদুগলিতে ড্রোন হামলায় ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর (এসএএফ) প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও তার সাবেক উপপ্রধান মোহাম্মদ হামদান ‘হেমেদতি’ দাগালোর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।