আজ রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। তিনি বর্তমানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির পাশে রয়েছেন।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে উপকমিশনার তালেবুর রহমান জানান, হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আটক আবদুল হান্নানের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ওসমান হাদিকে গুলি করা অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে শুটারকে শনাক্ত করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপরাধীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে—এমন কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। কেন তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে।

ভোটের মাঠে থাকা প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তালেবুর রহমান বলেন, নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশীদ আজ সকালে প্রথম আলোকে জানান, শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে র‍্যাব-২ আবদুল হান্নানকে আটক করে। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, যে মোটরসাইকেল থেকে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়, সেটি শনাক্ত করা হয়েছে। মোটরসাইকেলটির মালিক সন্দেহে আবদুল হান্নানকে আটকের পর রাজধানীর পল্টন থানায় সোপর্দ করে র‍্যাব।

এ বিষয়ে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিক আবদুল হান্নান। তাঁকে গতকাল মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। পরে আটক হান্নান ও জব্দ করা মোটরসাইকেল পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে গুলি করা ব্যক্তি হিসেবে সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে র‍্যাব।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা একটি মোটরসাইকেল থেকে এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির ওপর গুলি চালায়।

হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পল্টন থানা ছাড়াও র‍্যাব, ডিবিসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট তদন্ত ও অভিযান চালাচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।