প্রকাশিত:
গতকাল

রোববার ডিএমপি আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। ডিএমপি জানায়, হামলায় সরাসরি জড়িত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। সন্দেহভাজুদের দেশ ত্যাগ করতে না পারার জন্য সীমান্তে তাদের ছবি পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং পাসপোর্টও ব্লক করা হয়েছে।
শেরপুরের নলিতাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সীমান্ত পারাপার চক্রের দুজনকে আটক করা হয়েছে। হামলার সময় ব্যবহার করা মোটরসাইকেলটির মালিককে র্যাব গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। সেই দিন ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও পুলিশ উদ্ধার করেছে। ইমিগ্রেশন তথ্য অনুযায়ী, সন্দেহভাজুদের এখন পর্যন্ত দেশেই অবস্থান করছে।
প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধান সন্দেহভাজু যেন সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, তাই শুক্রবার রাতেই সব ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তার ছবি ও তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজুদের অবস্থান শনাক্ত হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো পুরোপুরি গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। পুলিশ প্রধান সন্দেহভাজুর চলাচলের ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে, যেখান থেকে দেখা গেছে, তিনি আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন; সর্বশেষ ২১ জুলাই সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে এমন আরও কয়েকজনকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাজধানীর পল্টনে বক্স কালভার্ট রোডে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল থেকে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তিনি বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।