প্রকাশিত:
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সাক্ষাতে অধ্যাপক ইউনূস ওসমান বিন হাদির সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন এবং হামলার সঙ্গে জড়িত পুরো চক্রকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন।
আজ শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ওসমান বিন হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দীক, বোন মাসুমা এবং ইনকিলাব মঞ্চের তিন নেতা—আব্দুল্লাহ আল জাবের, ফাতিমা তাসনিম জুমা ও মো. বোরহান উদ্দিন—প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ তাঁর জন্য দোয়া করছে। তাঁর সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে সবাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় প্রয়োজনে তাঁকে দেশের বাইরে পাঠাতে হলে, যেখানে চিকিৎসা প্রয়োজন হবে, সরকার সেখানেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।’
তিনি আরও জানান, এই নৃশংস হামলার সঙ্গে জড়িত পুরো চক্রকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ঘটনার আদ্যোপান্ত খতিয়ে দেখতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।’
ওসমান বিন হাদির বোন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই সে দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসত। সে জন্মগতভাবেই একজন বিপ্লবী। বিদ্রোহী কবিতা তার খুব প্রিয় ছিল, সে বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করতে ভালোবাসত। তার একটি ১০ মাসের সন্তান আছে। হাদি আমাদের পরিবারের মেরুদণ্ড।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওর সামনে এখনো অনেক কাজ বাকি, ওকে বাঁচতেই হবে। আপনারা বিপ্লবী সরকার—যে করেই হোক জুলাই বিপ্লবীদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। না হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।’
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা আব্দুল্লাহ আল জাবের দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ওসমান বিন হাদি জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করত এবং বিপ্লব সফল করতে দিন-রাত পরিশ্রম করত। জাবের আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি গুলি চালিয়েছে, শুনেছি সে আগে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। কীভাবে সে জামিন পেয়েছে, সেই প্রক্রিয়াও তদন্ত করা প্রয়োজন।’
এ সময় জুলাই যোদ্ধাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ইনকিলাব মঞ্চের আরেক নেতা ফাতেমা তাসনিম জুমা।
সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।