প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে—কথিত গৃহকর্মী আয়েশা নৃশংসভাবে লায়লা ফিরোজ (৪৮) এবং তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করে পালিয়ে যান।
ঘটনার পরদিন সোমবার রাতেই নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী, স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, সকাল ৭টার দিকে তিনি উত্তরা এলাকায় স্কুলে যাওয়ার পর স্ত্রীকে একাধিকবার ফোনেও যোগাযোগ করতে না পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বাড়িতে ফিরে তিনি স্ত্রী ও মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান।
ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়—সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে আয়েশা কাজের উদ্দেশে বাসায় প্রবেশ করেন। এরপর সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় তিনি একটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ মূল্যবান বেশ কিছু জিনিস নিয়ে যান।
সুরতহাল প্রতিবেদনে উঠে আসে ভয়াবহ বিবরণ—লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাত এবং নাফিসার শরীরে পাওয়া যায় ৪টি ছুরির আঘাতের চিহ্ন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর মা–মেয়ের মরদেহ নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।