news@weeklyinqilab.com|| 86-11 101 AVENUE, OZONE PARK, NY, 11416, USA
ব্রেকিং:

বাণিজ্য

বাংলাদেশে ৪২ শতাংশ রঙের নমুনায় অতিরিক্ত সীসা শনাক্ত

Next.js logo

প্রকাশিত:

২৯ অক্টোবর, ২০২৫

নিউজটি শেয়ার করুন:

ফজলুর রহমানঃ গৃহসজ্জার কাজে ব্যবহৃত রঙে বিপজ্জনক মাত্রায় সীসা পাওয়া গেছে—এক সাম্প্রতিক গবেষণায় এমন উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। আইন অনুযায়ী রঙে সীসার সর্বোচ্চ নিরাপদ সীমা যেখানে ৯০ পিপিএম, সেখানে কিছু রঙের নমুনায় সীসার পরিমাণ পাওয়া গেছে ১ লাখ ৯০ হাজার পিপিএম পর্যন্ত।

Thumbnail for বাংলাদেশে ৪২ শতাংশ রঙের নমুনায় অতিরিক্ত সীসা শনাক্ত
ইনকিলাব

পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (এসডো) ‘লেড এক্সপোজার এলিমিনেশন প্রজেক্ট’-এর অধীনে, ইন্সটিগ্লিও, বিএসটিআই ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় পরিচালিত এই গবেষণাটি মঙ্গলবার এসডোর প্রধান কার্যালয়ে প্রকাশ করা হয়। গবেষণার শিরোনাম ছিল ‘রঙে সীসার উপস্থিতি এবং সীসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অগ্রগতি মূল্যায়ন’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬১টি রঙের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৯৩টি (৫৭.৮%) নিরাপদ মাত্রার মধ্যে ছিল, যেখানে সীসার পরিমাণ ৯০ পিপিএম-এর নিচে। এসবের মধ্যে স্থানীয় ও বহুজাতিক নামীদামী ব্র্যান্ড যেমন বার্জার, এশিয়ান পেইন্টস এবং নিপ্পন পেইন্টসও অন্তর্ভুক্ত।

তবে ৬৮টি নমুনায় (৪২.২%) সীসার মাত্রা অনুমোদিত সীমা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে প্রায় ২৬ শতাংশ নমুনায় ১,০০০ পিপিএম-এর বেশি এবং ৩ শতাংশেরও বেশি নমুনায় ৫০,০০০ পিপিএম ছাড়িয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রঙগুলো এসেছে ছোট, স্থানীয় বা অনিবন্ধিত কোম্পানি থেকে—যাদের মান নিয়ন্ত্রণ ও পরীক্ষার প্রক্রিয়া প্রায় অনুপস্থিত বলে জানানো হয়।

এসডোর চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, “জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এখনই সব ধরনের রঙ থেকে সীসা নির্মূলের পদক্ষেপ নিতে হবে। উৎপাদন থেকে ব্যবহার পর্যন্ত সব পক্ষের সম্মিলিত দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে।”

এসডোর সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার শাহরিয়ার হোসেনের মতে, “আইন প্রণয়ন যথেষ্ট নয়—এর কার্যকর বাস্তবায়নই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোনো দোষারোপ নয়, বরং নিরাপদ শিল্প ও সমাজ গঠনের আহ্বান।”

নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, “আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের রঙ যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে তা পরিবার ও শিল্প উভয়ের জন্যই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সীসামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমরা সকল অংশীজনের সঙ্গে একসাথে কাজ করছি।”

বিএসটিআইয়ের কেমিক্যাল উইং পরিচালক খোদেজা খাতুন জানান, “যেসব ব্র্যান্ড এখনো সীসার মানদণ্ড মেনে চলছে না, তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে কিছু প্রক্রিয়াগত জটিলতা আছে। তবে আমরা তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।”
 

বিজ্ঞাপন কর্নার

আমাদের সম্পর্কে

সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতিঃ শাহ নেওয়াজ

উপদেষ্টা সম্পাদকঃ পাভেল মাহমুদ

ইংরেজি পাতার সম্পাদকঃ ফুহাদ হোসেন

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মোঃ বদরুদ্দোজা সাগর

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোহাম্মদ জাহিদ আলম

স্টেশন ইনচার্জঃ মো: মিদুল ইসলাম মৃদুল

টেকনিক্যাল ইনচার্জঃ মো: রাশেদুজ্জামান রাজু

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বাংলাদেশে ৪২ শতাংশ রঙের নমুনায় অতিরিক্ত সীসা শনাক্ত