প্রকাশিত:
২ ঘন্টা আগে

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে চলতি অর্থবছর বাজার থেকে ২৮৭ কোটি ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত অর্থ পাচারে কড়াকড়ির কারণে হুন্ডিপ্রবণতা কমে যাওয়ায় এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৫০৪ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। প্রবাসী আয়ে গত অর্থবছর প্রায় ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এভাবে রেমিট্যান্স বাড়ার ফলে দীর্ঘ দিন ধরে ডলারের দর ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে যা ছিল ২৭ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে ৯ নভেম্বর আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। পরে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির কারণে ধারাবাহিকভাবে কমছিল। সেখান থেকে এখন আবার বাড়ছে।