প্রকাশিত:
৩ ঘন্টা আগে

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জানাজার আগ মুহূর্তে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া বক্তব্যে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এ আলটিমেটাম দেন।
শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। তিনি বলেন, ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়েছে এক সপ্তাহ আগে। এ সময়ের মধ্যে খুনিদের ধরতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও একই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। অন্যথায় এ দুজনকে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করতে চাই, শরিফ ওসমান হাদির রক্তের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইনসাফ কায়েম হবে। তিনি বারবার বলেছেন যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ইনসাফের লড়াইয়ের জন্য যদি জীবন দিয়ে যেতে হয় তবে আমরা জীবন দেব, তবুও ইনসাফের লড়াই ছাড়ব না। সুতরাং, আমাদের ইনসাফের লড়াইয়ে লড়তেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তার পরিবারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রকে জানাতে চাই, যদি এই রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে তার পরিবারের আরও পাঁচ সদস্য- ভাই ও বোনদের রক্ত লাগে, তবে তারা তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।তবুও এই খুনিদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
এর আগে হাদির জানাজায় বক্তব্য রাখেন ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি হাদির জন্য সকলের কাছে দোয়া চান। জাবেরের পর বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর বক্তব্য রাখেন ওসমান হাদির বড় ভাই। এবং তিনিই হাদির জানাজার নামাজে ইমামতি করেন।
আব্দুল্লাহ আল জাবের আরও বলেন, ‘হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে এবং ইনসাফ কায়েম হবে, নয়তো আমরা সবাই বাংলাদেশের জন্য রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছি। ইনকিলাব মঞ্চ ব্যতীত অন্য কারও প্রোপাগান্ডায় আপনারা কোনো ধরনের সহিংসতার পথ বেছে নেবেন না। ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে আমরা জানাবো কখন কী ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার সার্জারি হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।