প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

দুটি দীর্ঘ সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর আমির ভেবেছিলেন, জীবনে আর প্রেম আসবে না। কিন্তু কঠিন সেই সময়ে শান্তি ও স্থিরতা নিয়ে তার জীবনে আসেন গৌরী স্প্র্যাট। আমির জানিয়েছেন, যখন তিনি ভাবছিলেন ভালোবাসা আর ফিরে আসবে না, ঠিক তখনই গৌরী তাকে নতুন আশ্বাস ও প্রশান্তি দেন।
আমির বলেন, প্রথম ছবির পর বহু অফার এলেও যেসব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে কাজ পাননি। পরে একসঙ্গে বহু ছবিতে সই করলেও দ্রুত বুঝতে পারেন, সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। পরপর কয়েকটি ছবি ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন—একটি ভালো স্ক্রিপ্ট, উপযুক্ত পরিচালক ও প্রযোজক ছাড়া কাজ করা উচিত নয়।
টানা ব্যর্থতার কারণে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ‘একটা ফ্লপ, তারপর আরেকটা… প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে কাঁদতাম। মনে হতো এবার সব শেষ,’ বলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই শপথ নেন যে, কাজের জায়গায় আর কখনো সমঝোতা করবেন না।
ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে পরিস্থিতি। নব্বইয়ের দশকে ‘রাজা হিন্দুস্তানি’, ‘সারফারোশ’সহ একাধিক হিট তাকে বলিউডের শীর্ষ তারকাদের একজন করে তোলে। পরবর্তী সময়ে ‘গজনি’, ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘পিকে’, ‘দঙ্গল’—সবই তাকে প্রতিষ্ঠিত করে অভিনয়ের নতুন মাত্রা দেওয়া অভিনেতা হিসেবে।
ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমির জানান, ৬০ বছর বয়সে তাঁর জীবনে নতুন সঙ্গী হয়েছেন গৌরী স্প্র্যাট। মার্চে জন্মদিনে তিনি গৌরীকে পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।আমির বলেন, ‘ভাবিনি এই বয়সে আবার প্রেম আসবে। গৌরী আমাকে শান্তি আর স্থিরতা দিয়েছে। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।’
শেষে আমির বলেন, রিনা, কিরণ ও গৌরী—তিনজনই তার জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই পরিবারের মানুষদের নিয়ে এখন তারা এক ধরনের বৃহৎ পরিবার হয়ে উঠেছেন। আমিরের কথায়, ‘আমি, রিনা, কিরণ, তাদের বাবা–মা, আমার পরিবার আর গৌরী—আমরা সবাই মিলে এখন এক বড় পরিবার, আর আমাদের সম্পর্ক দারুণ।’