প্রকাশিত:
২ ডিসেম্বর, ২০২৫

শীতকাল আগাম উপস্থিত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। প্রতিদিনই বাড়ছে ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও ঠান্ডার মাত্রা। এতে সকালে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়াগাড়ি চালক মো. জলিল মিয়া বলেন, ঠান্ডা দিন দিন বাড়ছে। বাতাস আর ঘন কুয়াশায় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। হাত–পা প্রায় বরফ হয়ে আসে।
পাঁচগাছি ইউনিয়নের কৃষিশ্রমিক আব্দুল কাদের বলেন, এখন আমন কাটার সময়। কিন্তু সকালে এমন ঠান্ডা থাকে যে বের হওয়াই কঠিন। তবু কাজ না করলে সংসার চলে না—তাই কষ্ট করেই কাজে বের হচ্ছি।
শীতে বিপর্যস্ত মানুষের সহায়তায় উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, জেলার ৯টি উপজেলায় ৬ লাখ করে মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কম্বল ক্রয় কার্যক্রম চলছে এবং শিগগিরই তালিকা অনুযায়ী শীতার্ত মানুষের মাঝে তা বিতরণ করা হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মঙ্গলবার সকালেই জেলার তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলমান শীতপ্রবাহের তীব্রতা বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।