প্রকাশিত:
গতকাল

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জন্য ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা সংক্রান্ত এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, নিরাপদ, স্বেচ্ছাসেবী ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে নানা শর্ত ও আশ্বাস প্রয়োজন। এ জন্য চীন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, প্রতিবেশী দেশ, আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। এটি সব স্টেকহোল্ডারের একটি যৌথ প্রচেষ্টা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের চূড়ান্ত সমাধান। এটি শুধু চীনের নয়, অন্যান্য দেশ ও বাংলাদেশেরও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি। তাঁর বিশ্বাস, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথও রয়েছে। তবে বিষয়টি শুধু বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যকার ইস্যু নয়; এটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থার আওতায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে হবে।
ইয়াও ওয়েন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ। প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে যা যা করা প্রয়োজন, তা করতে চীন প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সবাই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন দেখতে চায়, তবে বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে। বর্তমানে আরাকান রাজ্যের স্থল পরিস্থিতির কারণে এই মুহূর্তে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা কঠিন। তাই মায়ানমারের ভেতরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে বাড়তি প্রচেষ্টা প্রয়োজন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও রাখাইনে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে ইউএন সংস্থা ও দাতাদের সহযোগিতা জরুরি। প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সমাধান খুঁজে বের করার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাঁর মতে, এটি একটি সম্মিলিত দায়িত্ব ও অভিন্ন লক্ষ্য, যদিও এতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।