প্রকাশিত:
গতকাল

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সানাউল্লাহ জানান, প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, হামলাকারীরা কিছুদিন আগে হাদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে এবং সুযোগ বুঝে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। তাঁর ভাষায়, এটি ছিল একটি সুপরিকল্পিত ও চোরাগোপ্তা আক্রমণ।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ইসি সানাউল্লাহ জানান, দুটি জেলার নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের চেষ্টার ঘটনাও ঘটেছে, যা কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। নাশকতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডেভিল হান্ট–০১’ নামে পরিচালিত অভিযানে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তারা সবাই বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
এই পরিস্থিতিকে হতাশাজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কমিশনের জন্য উদ্বেগের বিষয়। যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও অনেকেই আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে।
তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গতকাল থেকে ‘রেবেল হান্ট–০২’ নামে দ্বিতীয় দফার অভিযান শুরু করেছে। পাশাপাশি এই পর্যায়ে আরও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অভিযান চালানো হচ্ছে। যারা নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরকে দোষারোপ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিপক্ব তথ্য ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে বলে জানান সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীন তথ্য ও পারস্পরিক দোষারোপের রাজনীতি মাঠপর্যায়ের নাশকতাকারীদের উৎসাহিত করছে। এ বিষয়ে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ের শেষ বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো নাশকতাকারী যেন উৎসাহিত বোধ না করে—এই বার্তাই আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য।
এই বৈঠকে আইজিপি, পুলিশ কমিশনার, বিজিবি মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র ও আইন সচিব, এনটিএমসি প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।