প্রকাশিত:
২ ডিসেম্বর, ২০২৫

আয়ারল্যান্ড টস জিতে ব্যাটিং নিলে শুরুর দিকে তাদের ব্যাটাররা ঝড় তুলেছিল ঠিকই, কিন্তু সেই গতি ধরে রাখতে পারেনি বেশিক্ষণ। বিশেষ করে রিশাদ হোসেনের টানা আক্রমণে আইরিশ ব্যাটাররা একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। পাওয়ার প্লের আগ্রাসন পরে পরিণত হয় ধ্বসের মতো উইকেট পতনে।
রিশাদ-সাকিব-মুস্তাফিজদের নির্ভুল বোলিংয়ে ১৯.৫ ওভারে থেমে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস, মাত্র ১১৭ রানে। সফরকারীদের হয়ে পল স্টার্লিংয়ের ৩৮ ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যদিও বাংলাদেশ দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খায়, সাইফ হাসান ১৯ ও অধিনায়ক লিটন দাস মাত্র ৭ রানে ফিরলে চাপ তৈরি হয়। কিন্তু অপর ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচটিকে একপেশে করে দেন। দুজনের অনবদ্য জুটিতে ১৩.৪ ওভারেই ২ উইকেট হাতে রেখে ১১৯ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে ফিল্ডার হিসেবে এক টি-টোয়েন্টিতে পাঁচটি ক্যাচ নেওয়ার বিরল রেকর্ড গড়েছেন তানজিদ তামিম। তার ৫৫ রানের ইনিংস এবং দুর্দান্ত ফিল্ডিং পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন তিনি। আর পুরো সিরিজে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে সিরিজসেরা হয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান।