ইনকিলাব
প্রকাশ:২ জুন, ২০২৫
ফাইল ছবি | ইনকিলাব
২৯ জুন (বৃহস্পতিবার) ইতালির রাজধানী রোমের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এই সেমিনার। বিজনেস সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার প্রতিরোধে নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন এবং বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা
এসময় বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে উল্লেখ করে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দো ও ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এটিএম রকিবুল হক।হয়।
কনফিমেয়া ইমপ্রেসে সভাপতি রবার্তো নারদেলা মানবপাচার প্রতিরোধে বৈধ অভিবাসন এবং বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেন: আজকের দিনটি ছিল বন্ধুদের এক টেবিলে জন্ম নেওয়া একটি ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যার লক্ষ্য ছিল সহযোগিতা এবং সুরক্ষিত কাজের সুযোগ তৈরি করা। যার জন্য আজ ইতালি নাগরিকদের প্রতিনিধিত্বের আহ্বান জানাচ্ছি। আলোচনায় ব্যবসায়িক ব্যবস্থায় কেবল স্বাস্থ্যসেবাই ছিল না, বরং একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কর্মব্যবস্থা ছিল। অর্থাৎ নির্মাণ শিল্পে, জেলে, পরিবহন খাতের একটি অংশ ছিল। প্রকৃতপক্ষে, বলব আমরা একটি নতুন যৌথ শ্রম চুক্তি স্বাক্ষর রাখতে চাই, তাই আমরা কাজের জগতে একীভূত হওয়ার নতুন সুযোগগুলির পাশাপাশি আরও বেশি করে কাজ করছি। আলোচনার মাধ্যমে ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের দক্ষ করে তুলতে কিছু বিষয় শেখানো প্রয়োজনতা রয়েছে। আমরা প্রশিক্ষণ স্কুলগুলি সক্রিয় করতে চাই।
অভিবাসন বিষয়ক বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট জর্জো মরি বলেন: লাল সবুজ ও সাদা রঙের পতাকার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সবসময় মনে রেখেছি। এ ভূখণ্ডে ক্রমশ উপস্থিতি বাড়ছে। বৈধ প্রবেশের ব্যবস্থায় এই দেশে কাজের চাহিদা পূরণে তারা অবদান রাখছেন। আমরা মনে করি এই সম্মেলনের মধ্যে প্রবেশের নতুন সম্ভাবনাগুলি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ইতালীয় দূতাবাস ফ্যামিলি ভিসা ও বৈধ অভিবাসনে কাজ করছে। এই সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা জাতীয় ভূখণ্ডে আইনি ব্যবস্থায় অভিবাসন পুনরুদ্ধার করার কথা ভেবেছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম ও কল্যান) আসিফ আনাম সিদ্দীকি বলেন কনফিমেয়া বিজনেস সেমিনার আলোচনা হয়েছে কি ভাবে বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করা যায় এবং ইতালিয়ানরা কি ভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে তার একটি সুযোগ তৈরী করা। আমরা বাংলাদেশর বিনিয়োগ সংস্থা ভিটার সাথে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের যোগাযোগের বিষয়ে কাজ করছি।
এছাড়াও সেমিনারে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইতালির প্রজাতন্ত্রের সিনেটর মার্কো স্কুরিয়া, কনফিমেয়া ইমপ্রেসের সভাপতি রবার্তো নারদেলা, কনফিমেয়া হেলথকেয়ারের সভাপতি জর্জিও আসকুইনি, কনফিমেয়া মেডিটেরানিওর সভাপতি মার্কো বোরেলি, ইউজিএল'র সাংগঠনিক সম্পাদক লুকা মালকোটি, আন্তোনিও গাম্বিনো। এসময় ইতালি এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এধরনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রম বাজার আরো প্রসারিত হবে পাশাপাশি নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।