ইনকিলাব
প্রকাশ:২৯ মে, ২০২৫
ফাইল ছবি | ইনকিলাব
—সব মিলিয়ে কয়েক দিন ধরে দেশ একধরনের অনিশ্চয়তার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। অনিশ্চয়তা কাটাতে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে নানা তৎপরতা চলছে। তবে সরকার, রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যে মতভিন্নতা তৈরি হয়েছে, সেটা কমেনি। কার্যত সব পক্ষ যার যার অবস্থানে অনড়। এমন অবস্থায় যেকোনো অনভিপ্রেত ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও কঠিন করে তুলতে পারে।
নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করা নিয়ে সরকারের সঙ্গে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির দূরত্ব দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্বের কথাও জনপরিসরে আলোচনা হচ্ছে। এ ছাড়া বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য দলগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। দলগুলোর মধ্যে কাজ করছে নানা সমীকরণ। কিছু বিষয় অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় নানা পক্ষকে বৈরিতার পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎছবি: প্রথম আলো
গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কে হবেন—এ নিয়ে প্রারম্ভিক আলোচনায় ভিন্নমতের কথা শোনা যায়। শুরু থেকে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দূরত্ব বা ভুল–বোঝাবুঝির একটা কারণ বলে অনেকে মনে করেন। অতীতের কিছু ঘটনাও সন্দেহ–অবিশ্বাস তৈরিতে ভূমিকা রাখে বলে ধারণা করা হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বিতর্কিত মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও নেতারা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন, দোষারোপ ছিল এবং আছে। পুলিশ বাহিনীর ভঙ্গুর অবস্থার কারণে মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের যুক্ত রাখা হচ্ছে কি না, সেটা নিয়েও ভেতরে-ভেতরে আলোচনা ছিল।
বিএনপি ৫ আগস্টের পর থেকেই দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। পরে তা এ বছরের ডিসেম্বরের সময়সীমার মধ্যে ঠেকেছে। তবে সরাসরি এ দাবিতে তারা মাঠে নামেনি। তবে সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের ওপর একধরনের চাপ তৈরি করে দলটি।
বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য দলগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। দলগুলোর মধ্যে কাজ করছে নানা সমীকরণ। কিছু বিষয় অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় নানা পক্ষকে বৈরিতার পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
এনসিপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎছবি: প্রথম আলো
নির্বাচন প্রশ্নে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের গঠিত দল এনসিপির অবস্থান বিএনপির চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন। এনসিপি আগে স্থানীয় নির্বাচন চায়। মৌলিক সংস্কার শেষ করে জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে তারা। একই সঙ্গে গণপরিষদ নির্বাচনও চায় দলটি। এ ক্ষেত্রে এনসিপির সঙ্গে কিছু ইসলামপন্থী দলের বোঝাপড়া রয়েছে। পুরোপুরি না হলেও এনসিপির ভাবনার সঙ্গে জামায়াত ইসলামীর অনেক ভাবনার মিল পাওয়া যায়। আবার এনসিপির চিন্তাভাবনা ও বিভিন্ন বক্তব্যের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কারও কারও চিন্তাভাবনার মিল পাওয়া যায়। ওই উপদেষ্টারা বিভিন্ন ইস্যুতে ভেতরে–বাইরে বিশেষভাবে সক্রিয় বলে বিএনপির নেতারা মনে করেন।
এই যে শুরু থেকে রাজনীতির মাঠের বর্তমান অংশীজনদের মধ্যে একটা চাপা দূরত্ব ও মতভেদ, তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমেনি; বরং ক্রমেই বেড়েছে।
সম্প্রতি রাজনীতিতে যে অস্থিরতা, এর শুরুটা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনার পর। মামলা থাকা সত্ত্বেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের রাষ্ট্রপতি কীভাবে দেশ ছাড়ার সুযোগ বা ছাড়পত্র পেলেন; এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ ঘটনায় সরকার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তবে এর শক্ত প্রভাব পড়ে রাজনীতির মাঠে। এর জেরে এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে এবং জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণে যমুনা ঘেরাওসহ আন্দোলনের মুখে সরকার আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সরকারের সিদ্ধান্তকে বিএনপির নেতারা স্বাগত জানালেও এ আন্দোলনে তাঁদের প্রকাশ্য উপস্থিতি ছিল না; বরং একটার পর একটা ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা হচ্ছে কি না, বিএনপির মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়।
এই যে শুরু থেকে রাজনীতির মাঠের বর্তমান অংশীজনদের মধ্যে একটা চাপা দূরত্ব ও মতভেদ, তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমেনি; বরং ক্রমেই বেড়েছে।
জামায়াতের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎছবি: প্রথম আলো
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনার চার দিনের মাথায় ১২ মে হঠাৎ সেনানিবাসকেন্দ্রিক একধরনের উত্তেজনা ও নিরাপত্তা জোরদারের খবর আসে জনপরিসরে এবং তা বেশ আলোড়ন তোলে। কিছু বিষয় গুজব আকারেও সামাজিক মাধ্যমে আসে। তখন এমন খবরও নানাভাবে প্রচার পায় যে সরকারের ভেতর থেকে সেনাপ্রধানকে সরানোর চিন্তা বা চেষ্টা হচ্ছে। যদিও সরকার বা সেনাবাহিনী কোনো পক্ষ থেকেই এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
এমন একটা পরিস্থিতিতে ২০ মে দেশের ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি’ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। তাতে সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীর প্রধানেরাসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। ওই বৈঠকের আগে বা পরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের আলাদা বৈঠক হয় বলে আলোচনা আছে। তবে সরকারি সূত্র থেকে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
এমন নানা আলোচনা ও গুমোট অবস্থার মধ্যে বিএনপির নেতা ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে কয়েক দিন ধরে চলা আন্দোলন ২১ মে যমুনার কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছায়। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি সরকারের ওপর একধরনের চাপ তৈরি করে। দলটি দুই ছাত্র উপদেষ্টা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে। এর পাল্টা হিসেবে এনসিপি অন্য তিনজন উপদেষ্টাকে বিএনপিপন্থী আখ্যা দিয়ে তাঁদের পদত্যাগ চায়। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে কর্মসূচি দেয়।
এমন নানা আলোচনা ও গুমোট অবস্থার মধ্যে বিএনপির নেতা ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে কয়েক দিন ধরে চলা আন্দোলন ২১ মে যমুনার কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছায়। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি সরকারের ওপর একধরনের চাপ তৈরি করে।
এ রকম একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ২১ মে ঢাকা সেনানিবাসে কর্মকর্তাদের এক সভায় (অফিসার্স অ্যাড্রেস) সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য গণমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তিনি ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন, যা চলমান পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে।
সেনাপ্রধানের এ বক্তব্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যমেও প্রচার পেয়েছে। এ নিয়ে নানা আলোচনা হয়। তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে বিএনপির নেতারা বক্তব্যও দেন। সেনাপ্রধানের এমন বক্তব্যকে ভিন্নমতের ইঙ্গিত হিসেবে দেখেন অন্তর্বর্তী সরকার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কারণ, প্রধান উপদেষ্টা বলে আসছেন, ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এ ছাড়া করিডর, বন্দর, সংস্কারসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়েও সেনাপ্রধান যা বলেছেন তার সঙ্গে বিএনপির বক্তব্য ও দাবির অনেকাংশে মিল রয়েছে। ফলে বিএনপি ও সেনাপ্রধানের মধ্যে একধরনের বোঝাপড়া রয়েছে কি না, বিভিন্ন মহলে সেই আলোচনাও আছে।
এমন একটা পরিস্থিতিতে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর পদত্যাগের ভাবনার কথা জানান। সেটা প্রকাশ পেলে একটা দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। ওই রাতেই বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে এ নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
পরে ২৪ মে দুপুরে একনেকের বৈঠক শেষে অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসেন। জানা গেছে, ওই বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে শক্ত মনোভাব প্রকাশ করেন। সেখানে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের বিষয়েও আলোচনা হয়। এরপর উপদেষ্টা পরিষদ যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে সরকারের শক্ত অবস্থানের বিষয়টিই স্পষ্ট হয়।
সর্বশেষ সরকারের ভেতরের বিভিন্ন সূত্র থেকে যতটা জানা যাচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর অবস্থানে অটল রয়েছেন। তিনি একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চান। চাপ তৈরি করে যেনতেন নির্বাচন করানোর পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
এরপর প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। সবাই অধ্যাপক ইউনূসের ওপর আস্থা রাখার কথা জানায়। তবে বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি। গত মঙ্গলবার বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না হলে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। গতকাল ঢাকায় বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশেও দলটির নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের জোরালো সমালোচনা করেন। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
সর্বশেষ সরকারের ভেতরের বিভিন্ন সূত্র থেকে যতটা জানা যাচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর অবস্থানে অটল রয়েছেন। তিনি একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চান। চাপ তৈরি করে যেনতেন নির্বাচন করানোর পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। সবাই চায় সমঝোতার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের একটা পথ তৈরি হোক। এমন একটি পরিস্থিতিতে সরকার, রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য পক্ষগুলো কতটা দায়িত্বশীলতা ও সহনশীলতার পরিচয় দেবে তার ওপরই নির্ভর করছে দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা।
অনেকে মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার, সেনাবাহিনী এবং প্রধান ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি কার্যকর আস্থার সম্পর্ক তৈরি না হওয়ায় অনিশ্চয়তা গভীর হয়েছে। দেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা, গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার, সেনাবাহিনী, বিএনপি, এনসিপি, জামায়াতসহ অন্যদের মধ্যে একটা আস্থার সম্পর্ক অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু শুরু থেকেই তা হোঁচট খেয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের ৯ মাসের মাথায় এসে পরস্পরের প্রতি সন্দেহ ও অবিশ্বাস বেড়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। সবাই চায় সমঝোতার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের একটা পথ তৈরি হোক। এমন একটি পরিস্থিতিতে সরকার, রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য পক্ষগুলো কতটা দায়িত্বশীলতা ও সহনশীলতার পরিচয় দেবে তার ওপরই নির্ভর করছে দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা।
টিপু সুলতান: হেড অব পলিটিকস অ্যান্ড ক্রাইম, প্রথম আলো