এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
ইনকিলাব
প্রকাশ:২ আগস্ট, ২০২৫
ফাইল ছবি | ইনকিলাব
শনিবার (২ আগস্ট) তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গাজার এক চিকিৎসা সূত্র জানায়, ১৭ বছর বয়সী আতেফ আবু খাতের চরম অপুষ্টি ও দীর্ঘদিনের অনাহারের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ এবং ইসরায়েলি অবরোধের ফলে শিশু-কিশোররাও জীবন হারাচ্ছে। চিকিৎসা সূত্রটি আরও জানায়, আতেফের দেহে দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত পুষ্টি না পৌঁছানোয় শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ে। অবরুদ্ধকালীন অবস্থায় চিকিৎসা পাওয়ার কোনো উপায় ছিল না। ফলে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরন করে এই ফিলিস্তিনি কিশোর। আতেফের এই করুণ মৃত্যু গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের এক গভীর প্রতিচ্ছবি।
আতেফের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের কারণে হওয়া অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬৩-তে। এর মধ্যে ৯৩ জনই শিশু। এসব মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী হিসেবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের অবরোধ ও সহায়তা বাধাগ্রস্ত করার নীতিকে দায়ী করেছে। গত ১৮ বছর ধরে গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। তবে ২০২৪ সালের ২ মার্চ থেকে তারা গাজার সকল সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এতে গাজার মধ্যে খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেখানকার পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে ভয়ানক।
অবরোধের পাশাপাশি গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজার ওপর দমনমূলক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক চাপ ও যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করেই এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।