info@weeklyinqilab.com|| 86-11 101 AVENUE, OZONE PARK, NY, 11416, USA
ব্রেকিং:

অর্থনীতি

জিনিসপত্রের দাম নাগালে থাকুক

Next.js logo

ইনকিলাব

প্রকাশ:২ জুন, ২০২৫

নিউজটি শেয়ার করুন:

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের জীবনযাপনের খরচও বেড়ে গেছে। কিন্তু আমাদের আয় তো সে অনুপাতে বাড়েনি।

Thumbnail for জিনিসপত্রের দাম নাগালে থাকুক

ফাইল ছবি | ইনকিলাব

দেখা যায় এক খাতে খরচ বাড়লে তার প্রভাব অন্য সব খাতে পড়ে। তখন অন্য জায়গা থেকে খরচ কাটছাঁট করে সমন্বয় করতে হয়। ফলে বাজেটে প্রথম প্রত্যাশা থাকবে আমাদের আয় বাড়ানোর সুযোগ যেন তৈরি হয় ও জিনিসপত্রের দাম যেন কমে।

গত কয়েক বছরে সব জায়গাতেই জীবনযাপনের খরচ অনেক বেড়েছে। যেমন ছোটখাটো গন্তব্যের জন্য আমার কাছে রিকশা হচ্ছে নিরাপদ বাহন। কিন্তু ৩০-৪০ টাকার নিচে রিকশা ভাড়া নেই। এভাবে গত দু-তিন বছরের মধ্যে গ্যাস, বিদ্যুতের দামসহ প্রায় সব ধরনের পরিষেবা ব্যয় বেড়েছে। এসব কারণে বেড়েছে সংসার খরচ। পরিবারের বেশির ভাগ বড় ব্যয়ই নির্দিষ্ট থাকে। ফলে বাচ্চাদের শিক্ষা, পরিবহন ব্যয়, নিত্যদিনের বাজার ও ক্ষেত্রবিশেষ ওষুধের ব্যয় থেকে বাড়তি খরচ কাটছাঁট করতে হয়।

 

একটা বিষয় এখানে বলতে চাই। ঢাকায় বাচ্চাদের শিক্ষার খরচ অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে সরকারের নজর দেওয়া দরকার। স্কুলগুলোর ভর্তি ফি ও মাসিক ফি অনেক বেশি, যা সাধারণ পরিবারগুলোর পক্ষে বহন করা কঠিন। একটু ভালো স্কুলে বাচ্চাদের পড়াতে চাইলেই ব্যয় কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এ ধরনের শিক্ষা ব্যয় কমানোর বিষয়ে বাজেটে নির্দেশনা থাকা উচিত।

আমরা চাই, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকুক। গত দু-তিন বছরে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেড়েছে। বর্তমানে আলু, পেঁয়াজসহ সবজির দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে; তবে মাছ, মাংস, ডিমসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেশি। একবার যে দাম বেড়েছে, সেগুলো আর কমেনি। মূলত এই বিষয় আমাদের মতো পরিবারগুলোকে বেশি ভোগাচ্ছে।

বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য মুরগি ও সাধারণ কিছু মাছই প্রোটিনের একমাত্র উৎস। তারা পছন্দের কোনো মাছ সাধারণত খান না। কারণ, দাম বেশি। যেমন চার-পাঁচজনের একটা পরিবারে একটি বড় ইলিশ মাছ দিয়ে এক বেলার বেশি খাওয়া যায় না। সেই ইলিশ মাছের কেজি দুই হাজার টাকার ওপরে। আর্থিক টানাটানির কারণে অনেক পরিবার যথাযথ পুষ্টি পাচ্ছে না। এসব পরিবার ঘুরেফিরে নির্দিষ্ট এক-দুইটা মাছ ও ব্রয়লার মুরগি ও নির্দিষ্ট কিছু সবজি খাচ্ছে। আর গরুর দুধ বা ফলের কথা না-ই বা বললাম। সব ধরনের ফলের দামই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।

ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের সঞ্চয়ের পরিমাণ কমেছে। ফলে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে চিকিৎসা ব্যয় বহন করা আমাদের পক্ষে কঠিন।

সাবরিনা ইসলাম, গৃহিণী, মুগদা, ঢাকা

 

 

বিজ্ঞাপন কর্নার

আমাদের সম্পর্কে

সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতিঃ শাহ নেওয়াজ

উপদেষ্টা সম্পাদকঃ পাভেল মাহমুদ

ইংরেজি পাতার সম্পাদকঃ ফুহাদ হোসেন

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মোঃ বদরুদ্দোজা সাগর

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোহাম্মদ জাহিদ আলম

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন