ইনকিলাব
প্রকাশ:৩ জুন, ২০২৫
ফাইল ছবি | ইনকিলাব
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয়জীবনের শুরুর কথা, সংগ্রাম আর স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ভোপালে বেড়ে ওঠা পলক বাবা-মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় মুম্বাই আসেন। ছোটবেলা থেকেই নাচে দক্ষ ছিলেন।
পলক জয়সোওয়াল। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
পলক বলেন, ‘অভিনেত্রী হওয়ার কোনো বাসনা আমার ছিল না। ভালো নাচতাম বলে বাবা-মা ভাবতেন, আমি বিনোদনের জগতে ভালো করব। বাবা আমাকে পৃথ্বীরাজ থিয়েটারে ভর্তি করিয়ে দেন। সেখান থেকেই আমার অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।’
থিয়েটারে প্রশিক্ষণের পর ধীরে ধীরে কাজ শুরু করেন বিজ্ঞাপনচিত্র ও ওয়েব সিরিজে। সাকিব সালিমের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ক্রাকডাউন সিরিজে। তবে এই যাত্রাপথ একেবারেই সহজ ছিল না। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বহুবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন তিনি। পলক বলেন, ‘শুরুতে প্রত্যাখ্যান খুব কষ্ট দিত। তবে পরে যখন একটি কাস্টিং সংস্থায় কাজ করতে শুরু করি, তখন বুঝি—প্রত্যাখ্যান কখনোই ব্যক্তিগত কিছু নয়। এটা মানে এই নয় যে আমি খারাপ অভিনেত্রী, বরং আমি হয়তো ওই চরিত্রের উপযুক্ত নই।’
পলক জয়সোওয়াল। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
সাক্ষাৎকারে স্বজনপ্রীতি নিয়েও কথা বলেন পলক। তাঁর ভাষায়, ‘স্বজনপ্রীতি সবখানেই আছে। তারকা-সন্তানদের জন্য এটা অবশ্যই বাড়তি সুবিধা। তবে সবাই আলিয়া ভাট হতে পারেন না। শেষ পর্যন্ত প্রতিভা আর পরিশ্রমই কাউকে সামনে নিয়ে আসে।’
নিজের প্রেরণা হিসেবে হলিউডের অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপের নাম উল্লেখ করেন পলক। বলিউডে তিনি আলিয়া ভাটের অভিনয়শৈলীতেও অনুপ্রাণিত। পলকের ইচ্ছা, ভবিষ্যতে এমন জটিল চরিত্রে অভিনয় করার, যেগুলো নারীর শক্তি ও সংবেদনশীলতা একসঙ্গে তুলে ধরে।
নিজের যোগ্যতায় মুম্বাই চলচ্চিত্রে জায়গা করে নিতে চান পলক। তিনি বলেন, ‘আমি চাই, কাজ দিয়ে আমাকে চিনুক মানুষ, পরিচিত হই আমার অভিনয়ের মাধ্যমে।’