এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
ইনকিলাব
প্রকাশ:৩ জুন, ২০২৫
ফাইল ছবি | ইনকিলাব
ব্যাগে ৪৭টি বিষধর সাপসহ বেশ কয়েকটি বিরল প্রজাতির সরীসৃপ নিয়ে থাইল্যান্ড থেকে ফেরার সময় মুম্বাই বিমানবন্দরে এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
রোববার বিমানবন্দরে ওই যাত্রীকে থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে তার লাগেজ থেকে সাপগুলো উদ্ধার করা হয়। প্রাণীগুলোকে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উদ্ধার হওয়া সাপগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি স্পাইডার-টেইলড হর্ণড ভাইপার, চারটি ইন্দোনেশীয় পিট ভাইপার, ও পাঁচটি এশিয়ান লিফ টার্টল এবং ৪৪টি ইন্দোনেশিয়ান পিট ভাইপার।
ভারতের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের আওতায় এসব প্রাণী জব্দ করা হয়েছে। তবে ওই ভারতীয়র নাম প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তিনি বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে তার পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য আসেনি।
কাস্টমস বিভাগ তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে সাপগুলোর ছবি প্রকাশ করেছে। একটিতে দেখা যায়, রঙিন সাপগুলো একটি পাত্রে পেঁচিয়ে আছে।
ভারতে প্রাণী আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ না হলেও সরকার নির্ধারিত বিপন্ন বা সংরক্ষিত প্রজাতির প্রাণী আমদানির ক্ষেত্রে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন প্রজাতির প্রাণী আমদানির জন্য প্রয়োজন অনুমোদিত লাইসেন্স ও ছাড়পত্র।
ভারতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রাণী চোরাচালানের এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও নানা সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা বিপন্ন বন্যপ্রাণী উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দিল্লি বিমানবন্দরে এক কানাডীয় নাগরিকের লাগেজ থেকে একটি কুমিরের খুলি জব্দ করা হয়।
ফেব্রুয়ারিতে মুম্বাই বিমানবন্দরে এক যাত্রীর কাছ থেকে পাঁচটি সায়ামাং গিবন উদ্ধার করা হয়, যা একটি বিরল প্রজাতির ছোট বনমানুষ। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের বনে এই প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। গিবন বিপন্ন প্রাণী হিসাবে তালিকুভুক্ত।
এর আগে গত বছর নভেম্বরে ব্যাংকক থেকে ফেরা দুই যাত্রীর কাছ থেকে ১২টি বিদেশি কচ্ছপ জব্দ করা হয়।
২০১৯ সালে চেন্নাই বিমানবন্দরে এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি হর্ণড পিট ভাইপার, পাঁচটি ইগুয়ানা, চারটি ব্লু-টাংড স্কিঙ্ক, তিনটি গ্রিন ট্রি ফ্রগ এবং ২২টি মিশরীয় কাছিম। তিনিও থাইল্যান্ড থেকে ফিরছিলেন।