এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
গতকাল
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিএফডিসিতে প্রয়াত চলচ্চিত্রশিল্পীদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সোহেল রানা। নতুন ও পুরোনো শিল্পীদের ভিড়ে তিনি সেখানে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
এদিন তার কথায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে জীবনের নানা উপলব্ধি। বিনীতভাবে বললেন, ‘আমি ভুল করেছি, ভুল অনেক করেছি। তাই সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। যেন মৃত্যুর পর মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নীতি ও আদর্শ নিয়ে দাঁড়াতে পারি।’
এই অভিনেতা বলেন, ‘কে কখন চলে যাব, শিওর না। তাই এই সুযোগে আমার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে করবেন, আমি যদি কারও প্রতি কোনো অন্যায় বা ভুল করে থাকি, আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। কারণ আমি জানি না, কবে চলে যাব।’
সোহেল রানার পারিবারিক নাম মাসুদ পারভেজ। নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশের পর তিনি সোহেল রানা নামেই ব্যাপক পরিচিতি পান। তবে প্রযোজক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে, মাসুদ পারভেজ নামেই।
সোহেল রানা শুধু অভিনেতাই নন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পরেই প্রযোজনা করেন ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’। নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের সঙ্গে মিলে তিনি সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েই ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেছিলেন যুদ্ধের বাস্তবতা। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে তখন চলচ্চিত্র নির্মাণ করা প্রায় অসম্ভব ছিল, কিন্তু সোহেল রানা সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছিলেন।
১৯৭২ সালে ‘পারভেজ ফিল্মস’ নামে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি। প্রযোজনা করেন প্রায় ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্র। তবে জনপ্রিয়তা পান নায়ক হিসেবেই। ১৯৭৪ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র অবলম্বনে নির্মিত ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই সিনেমায় পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন তিনি।