এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘সংসদে নারীর কার্যকর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হলে সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।’ তিনি জানান, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোই ৫০টি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। এতে নারীরা কেবল দলীয় প্রার্থী হিসেবে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েন এবং তাদের কার্যকর ভূমিকা রাখার সুযোগ কমে যায়।
ফওজিয়া মোসলেম আরও বলেন, 'সাধারণ আসনের পাশাপাশি সংরক্ষিত আসনের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়া উচিত।'
আলোচনায় বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উঠে আসে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সংসদে আসনের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৫০ করা, যেখানে সাধারণ আসন থাকবে ৩০০টি এবং সংরক্ষিত নারী আসন হবে ১৫০টি। আরও প্রস্তাব করা হয়, দুটি সাধারণ আসন মিলিয়ে একটি সংরক্ষিত নারী আসন নির্ধারণ করা এবং নারীদের সরাসরি জনভোটে নির্বাচিত করা। এতে গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ বাড়বে বলে মত দেন বক্তারা।
এছাড়া প্রস্তাব দেওয়া হয়, সর্বোচ্চ দুই বা তিন মেয়াদ পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চালু রাখা যেতে পারে। এতে নারীরা নিজেদের নির্বাচনী এলাকা তৈরি করার সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক বিএনপি সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।