এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ঈদে মিলাদুন্নবী মুসলিম বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। আজ সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। দিনটি উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হয়েছে গতকাল শুক্রবার। এ উপলক্ষে আজ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জশনে জুলুস, শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিভিন্ন দলের নেতারা বাণী দিয়েছেন।
ড. ইউনূস তার বাণীতে বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তার বাণীতে বলেন, আমাদের ধর্মীয় ও পার্থিব উভয় জীবনে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (স.) -এর শিক্ষা ও জীবনাদর্শ অনুসরণীয়। মহানবী ছিলেন মহানুভবতা, সহনশীলতা, সততা, নিষ্ঠাসহ নানা মানবিক গুণে গুণান্বিত একজন মহামানব, মানবজাতির পথপ্রদর্শক। মহানবী (সা.) মানবতার মুক্তি, সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার যে মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা আজও আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
তারেক রহমান তার বাণীতে বলেন, হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়। তিনি এই পবিত্র দিন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মানবজাতি বিশ্ব নবীর আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সব অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ন-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও অনুরূপ বাণীতে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে সালাম জানান।
ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীর মতো প্রধান শহরগুলোতে সুষ্ঠু ও নিরাপদে জমায়েত ও শোভাযাত্রা নিশ্চিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষত বৃহৎ মসজিদ ও ধর্মীয় স্থানে, যেখানে বড় সমাবেশের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। ইতোমধ্যে সংবেদনশীল স্থানগুলোতে নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে কার্যকর জনসমাগম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভক্ত-অনুরাগীদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে যথাযথ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠান উদ্বোধন
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। শুক্রবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার।