এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। নেপাল সরকার বলছে, এই পদক্ষেপ অনলাইনে ঘৃণা, গুজব এবং সাইবার অপরাধ দমনের একটি প্রচেষ্টার অংশ।
তবে টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিমবাজ এবং পপো লাইভ ইতোমধ্যে নিবন্ধন করায় এগুলো বন্ধ হচ্ছে না।
নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং বলেছেন, নেপালে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি সামাজিকমাধ্যমকে বারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোক দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন করে।
তিনি বলেন, প্ল্যাটফর্মগুলো অবিলম্বে ব্লক করে দেওয়া হবে। বর্তমানে দেশটির তিন কোটি জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
নেপাল সরকার কোম্পানিগুলোকে দেশে একটি যোগাযোগ অফিস বা পয়েন্ট স্থাপনের কথা বলে আসছে। সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলো সঠিকভাবে পরিচালানা, দায়িত্বশীল এবং জবাবদিহিতামূলক করার লক্ষ্যে এ বিষয়ে সংসদে একটি বিলও আনা হয়েছে।
নেপাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সামাজিকমাধ্যম পর্যবেক্ষণের জন্য আইন করা প্রয়োজন। ব্যবহারকারী এবং অপারেটর উভয়ই এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে কী শেয়ার করছেন এবং কী প্রকাশিত হচ্ছে বা বলা হচ্ছে তার জন্য তাদের দায়ী ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।
দেশটির সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোকে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন করার জন্য বুধবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। এতে শর্ত হিসেবে নিবন্ধনের সময় স্থানীয় প্রতিনিধি, অভিযোগ নিষ্পত্তিকারী এবং কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম দেওয়ার কথা বলা হয়।
দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং বলেন, আমরা তাদের নিবন্ধনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়েছি এবং বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করেছে। যে কারণে তাদের সেবা নেপালে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
যদিও ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।